আমাশয় (Dysentery) রোগের কারন ও প্রতিকার ;-
আমাশয় একটা জীবাণু ঘটিত এক ধরনের সংক্রামিত
রোগ। সাধারণ ক্ষেত্রে এই রোগ জীবনসংশয়কারী না হলেও খুব
বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক। এই রোগে একবার আক্রান্ত
হলে ভোগান্তি থেকে সহজে নিরাময় পাওয়া যায় না। ক্রনিক পর্যায়ে চলে গেলে দেহে অনেক জটিলতার সৃষ্টি করে এবং রোগী নিজেই এ রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে থাকে।
দু’ধরনের আমাশয়ের কথা শোনা যায়।
অ্যামিবা জাতীয এক ধরনের জীবাণু থেকে অ্যামিবিক আমাশয় এবং সিগেলা জাতীয়
ব্যাসিলাস থেকে ব্যাসিলারি আমাশয় হয়ে থাকে। জীবাণুগুলো
পেটে গিয়ে দ্রুত বংশবৃদ্ধি ঘটাতে থাকলে ক্ষুদ্রান্ত্রে ও বৃহদন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং অন্ত্রের ঝিল্লীতে ঘা বা ক্ষত সৃষ্টি করে। এই ঘা বা ক্ষত বৃহদন্ত্রে হলে তাকে বলে
কোলাইটিস (Colitis),
আর প্রদাহ ক্ষুদ্রান্ত্রে হলে তাকে অন্ত্র-প্রদাহ বা ইটারাইটিস (Eteritis) বলে। এই ঘা বা ক্ষতজনিত প্রদাহ
দুই অন্ত্রেই
হতে পারে। তাকে বলে এন্টারোকোলাইটিস ।
আমাশয় রোগের কারনঃ
পানি, বাতাস, মশা,
মাছি ও খাবারের মাধ্যমেই সাধারণত এই রোগ
সংক্রামিত হয়ে
থাকে। গরম ও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এ রোগের
প্রকোপ বেশি হয়ে থাকে।
আমাশয় রোগের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো হচ্ছে ;
১. কয়েকদি আগে থেকে পেটে অস্বস্তি ও ভার ভার অনুভব হয়।
২. কোন কোন খেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য ও উদরাময় দেখা দেয় ।
৩. পায়খানা হওয়ার পূর্বে নাভির চারপেশে ও তলপেটে ব্যথা অনুভব হয় ।
৪. পেত কামড়াতে থাকে এবং বার বার পায়খানার বেগ হয় কিন্তু পায়খানা খুবই কম হয় ।
৫. পায়খানা দুর্গন্ধযুক্ত হয় এবং পায়খানার পরেও পেট ব্যথা বা পেট কামড়ানো কিছুক্ষন থাকে। পায়খানা হলে প্রথমে কাদা কাদা এবং পরে পায়খানার সাথে কফ বা মিউকাস মিশ্রিত অল্প অল্প হলদে, সবুজ, কালো মল নির্গত হতে থাকে। জীবাণু দ্বারা অন্ত্রের ঝিল্লী ক্ষত-বিক্ষত হলে রক্তস্রাবের কারণে পায়খানা লালচে হয়ে যায়। মলের সাথে রক্ত নির্গত হলে তখন এ রোগকে বলা হয় রক্ত আমাশয় বা Blood-dysentery)।অনেক ক্ষেত্রে পেটে বায়ু জমে এবং দেহের তাপ বৃদ্ধি পেয়ে অল্প জ্বরও আসতে পারে।
২. কোন কোন খেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য ও উদরাময় দেখা দেয় ।
৩. পায়খানা হওয়ার পূর্বে নাভির চারপেশে ও তলপেটে ব্যথা অনুভব হয় ।
৪. পেত কামড়াতে থাকে এবং বার বার পায়খানার বেগ হয় কিন্তু পায়খানা খুবই কম হয় ।
৫. পায়খানা দুর্গন্ধযুক্ত হয় এবং পায়খানার পরেও পেট ব্যথা বা পেট কামড়ানো কিছুক্ষন থাকে। পায়খানা হলে প্রথমে কাদা কাদা এবং পরে পায়খানার সাথে কফ বা মিউকাস মিশ্রিত অল্প অল্প হলদে, সবুজ, কালো মল নির্গত হতে থাকে। জীবাণু দ্বারা অন্ত্রের ঝিল্লী ক্ষত-বিক্ষত হলে রক্তস্রাবের কারণে পায়খানা লালচে হয়ে যায়। মলের সাথে রক্ত নির্গত হলে তখন এ রোগকে বলা হয় রক্ত আমাশয় বা Blood-dysentery)।অনেক ক্ষেত্রে পেটে বায়ু জমে এবং দেহের তাপ বৃদ্ধি পেয়ে অল্প জ্বরও আসতে পারে।
চিকিৎসা ;
দ্রুত বংশ বৃদ্ধিক্ষম বহিঃস্থ জীবাণু দ্বারা আক্রান্তের কারণে এই আমাশয় রোগ সৃষ্টি হয় বলে প্রথমে ঔষধের সহায়তায় যত শীঘ্র সম্ভব দেহকে জীবাণুমুক্ত করা আবশ্যক। সেই সাথে নিয়মিত যৌগিক-ব্যায়াম ও যথাযথ রোগারোগ্যের নিয়ম-কানুন পালন করলে আর আক্রমণ করতে পারে না। তবে মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ঔষধে এ জাতীয় রোগ চিরতরে দূর হয় না। সুযোগ পেলেই এরা দেহে বাসা বেঁধে ফেলে। নিয়মিত ইয়োগা বা যোগ-ব্যায়াম অভ্যাসে রাখলে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে সে সুযোগ আর থাকে না।
দ্রুত বংশ বৃদ্ধিক্ষম বহিঃস্থ জীবাণু দ্বারা আক্রান্তের কারণে এই আমাশয় রোগ সৃষ্টি হয় বলে প্রথমে ঔষধের সহায়তায় যত শীঘ্র সম্ভব দেহকে জীবাণুমুক্ত করা আবশ্যক। সেই সাথে নিয়মিত যৌগিক-ব্যায়াম ও যথাযথ রোগারোগ্যের নিয়ম-কানুন পালন করলে আর আক্রমণ করতে পারে না। তবে মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ঔষধে এ জাতীয় রোগ চিরতরে দূর হয় না। সুযোগ পেলেই এরা দেহে বাসা বেঁধে ফেলে। নিয়মিত ইয়োগা বা যোগ-ব্যায়াম অভ্যাসে রাখলে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে সে সুযোগ আর থাকে না।
আমাশয় রোগীর পথ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ
সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। পানীয় হিসেবে লেবুর শরবত, ঘোল বা
মাঠা, পাতলা বার্লি,
ডাবের পানি, বেলের শরবত ইত্যাদি। খাবার হিসেবে কাঁচকলা,
থানকুনি পাতা, কাঁচা পেঁপে ও জিওল মাছের ঝোল দিয়ে
নরম ভাত। এছাড়া দুধের ছানা বা ছানা জাতীয় খাবার আমাশয় রোগীর
জন্য বিশেষ
উপকারী।
একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন।
একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন।
-ধন্যবাদ-
এতটি প্রশ্ন:মনে করেন রোগটি রাত 2 টা বা 3 টার দিকে আকষ্মিকভাবে বেড়ে গেল যখন ডাক্তার ডাকা অসম্ভব৷এক্ষেত্রে রোগিকে অন্তত স্বাভাবিক করার চেষ্টাস্বরূপ কি করা যেতে পারে??উত্তর আশা করছি!!!
ReplyDeletef
Deleteআমার মাথা ব্যাথা থাকে সবসময়,আর কম্পিউটার এর দিকে তাকালে আরো বেরে যায়,এ ক্ষেত্রে করণীয় কি?
ReplyDeleteডাক্তার এর কাছে গিয়ে চোখ পরিক্ষা করুন। এবং চশমা ব্যবহার করুন তা হলে ঠিক হয়ে যাবে। আমার ও এমন হয়েছিল।
Deleteআমি অনেক ওসুধ খেয়েছি আমাশয় সারছে না কি করবো বলবেন
ReplyDeleteআমি আমাশয়ের কারনে প্রচনডো ভোগানতিতে আছি কি করলে ভাল ফল পাওয়া জাবে
ReplyDeleteAmio
Deleteআমাশয়ঔষধের নাম বলুন
ReplyDeletebacchader khetre koroniyo ki ?.....9 month er baccha.....
ReplyDeleteআমাশয় হলে কী ঔষধ নেওয়া যেতেপারে
ReplyDeleteআর কোষ্টকাঠিন্য এর ঔষধ কি কি
ReplyDeleteআমাশয় হলে কি পাতলা পায়খানা হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
ReplyDeleteআমাশয় হলে কি পেট থেকে ডেকুরের মত গ্যাস বেরহয়
ReplyDeletemetronidazole 400mg
ReplyDeleteপাঁচ দিন ধরে আমার আমাশয় সারছে না আমার করণীয় কি ????????
ReplyDeleteপাঁচ দিন ধরে আমার আমাশয় সারছে না আমার করণীয় কি ?????
ReplyDeleteকোন চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিব ...
ReplyDeleteAmio onk din dhore vugchi aamashay ..sorir durbol r roga hoye jachi ki korbo...
ReplyDelete4.5year er bacchar 7din thake amasoi. 2din holo Filmet syrup 1/2 spoon kore dine 2bar khacche kintu komchena. Ki koronio aache, janaben please....
ReplyDeleteআমাশয় পাকস্থলীর একটি রোগ এতে ডায়রিয়ার সঙ্গে রক্ত বের হয়। এই রোগকে আমও বলা হয়। এটি এক ধরনের সংক্রমণ, যা অন্ত্রে ঘটে। এতে তলপেটে তীব্র ব্যথা হয়।
ReplyDeleteআরও পড়ুন :- আমাশয় রোগের কারণ, লক্ষণ এবং ঘরোয়া প্রতিকার